সিজোফ্রেনিয়া একটি ভয়ানক মানসিক অসুস্থতা যা একজন মানুষের চিন্তা, অনুভব ক্ষমতা এবং আচরণে প্রভাব ফেলে । এই রোগে আক্রান্ত মানুষকে অনেক সময় বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন দেখা যায় যা তার সামগ্রিক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব আনে। সাধারণত টিনএজ বয়সের শেষের দিকে কিংবা ত্রিশের কাছাকাছি বয়সে এর লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়। এই রোগ বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করে কিন্তু কিছু উপসর্গ খুবই পরিচিত।
উপসর্গ সমূহ –
*অসংলগ্ন কথাবার্তা যা বোঝা কষ্টসাধ্য ।
*অভিব্যক্তিশূন্য আবেগ এবং মুখাবয়ব ।
*কোন কাজ করবার প্রেরণার অভাব এবং মনোযোগ ধারণে ব্যর্থতা ।
*ডিল্যুশন
এমন কিছু বিশ্বাস করা যার সত্যতা নেই ।
*হ্যালুসিনেশন
এমন কিছু দেখে,শোনে বা অনুভব করে যা বাস্তব নয় ।
*চিন্তা এবং কথা বলার সময় বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া । কোন যুক্তি ছাড়া এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে চলে যাওয়া ।
*সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমতা ।
*সামাজিক যোগাযোগ রক্ষায় সমস্যা তৈরি হওয়া ।
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগীই নিজের অসুস্থতার বিষয়টি বুঝতে পারেন না । হ্যালুসিনেশন এবং ডিল্যুশনগুলোকে তারা বাস্তব বলে মনে করেন এবং ঔষধ গ্রহণ করতে অসম্মতি জানান। সিজোফ্রেনিয়ার কারণ হিসেবে জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব, মস্তিষ্কে রাসায়নিক পার্থক্য, পরিবেশগত প্রভাব এবং কিছু ঔষধকে দায়ী করা হয় ।
লেখক- প্রফুল্ল নক্ষত্র
রেফারেন্স-
১.https://www.psychiatry.org/patients-families/schizophrenia/what-is-schizophrenia
২.https://www.nimh.nih.gov/health/topics/schizophrenia/index.shtml
৩.https://www.psychiatry.org/patients-families/schizophrenia/what-is-schizophrenia
৪.https://www.medicalnewstoday.com/articles/36942#causes