ভুল চাওয়া

একসময় মানুষে মানুষে কথা হতো সামনাসামনি বসে,
আর এখন সব লিখা,বলা কথাই রয়েছে ডাটা হয়ে কোনো না কোনো সাইটের দখলে!
বাস্তবে বসে একজনের জন্য বরাদ্দ করা সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০জনের সাথে আলাপনের কাজ চলছে। 
আজ তাই পাব্লিসিটি করার জন্য সব endorsement কেই পয়সা দিতে হয় না!! 
বিনে পয়সায় অনেক দিনমজুরকেই কাজে লাগানো যায়!

এখনই বুঝি তবে সেই সুবর্ণযুগ অতিবাহিত হচ্ছে যেখানে আর গাছ কেটে খাতা বানানোর ঝক্কি নেই! 
হাতের লেখা ভালো খারাপের বাহবা কিংবা সমালোচনা নেই! 
নেই পাবলিশার্স এর দরজায় ঠকঠক করে বেড়ানোর ঝামেলা! 
অচেনা বহুদূরের মানুষের সাথে আলাপের সময়ও নেই কোনো অসুবিধা!
নেই বাস্তব জীবনে দেখা সাক্ষাতকালের body language কিংবা voice modulation এর পেঁচ ঘোচ!!!! 
নিজ গোত্রের বন্ধু খোঁজা যায় অনেক সহজেই। আছে ইচ্ছেমতো চিন্তা portrait করবার স্বাধীনতা!

তবুও কেন এযুগে মানুষের মন নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা! 
মানসিক রোগের এতো ক্রমবর্ধক ধারা!!!! 
চিন্তা ভাবনাকে কেনই বা বলা হয় বিকৃত হরহামেশা!!! 
এমন স্বাধীন প্লাটফর্মই তো কাম্য ছিলো কয়েক দশক ধরে!!! 
এখন তো আসলে মনের কথা মনে না সবার সাথে এসব প্লাটফর্মেই বলা অভ্যেস। 

তবুও কেউ কাউকে নিয়ে কথা বললে আবার প্রাইভেসির পেঁচাল কেন থাকে? 
থাকে কেন অপমান ;মান-অভিমান কিংবা সমালোচনার ভয়ে বাঁচবার অস্বস্তি !
কেন পরিচয় তৈরির এমন স্বাধীন যুগে পরিচয়হীন হয়ে আত্নহননের ঘটনা দিনকে দিন বাড়ছে!

তাই বুঝি কবিগুরু আদিকালেই বলছিলেন সে সময় -
"যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই,
যাহা পাই তাহা চাই না।"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *